নিউজিল্যান্ড হোয়াইট এই শাবকটির উৎপওি ক্যলিফোনিয়ায়। এদের পাচঁটি রঙে পাওয়া যায়: সাদা,  কালো, লাল, নীল এবং ভাঙা। এদের ওজন গড়ে ১০-১২ কেজি হয়ে থাকে। এদের মাংস খুবই সুস্বাদু এবং যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এর মাঝারি পেশিবহুল শরীর, কান খাড়া ও লম্বা, লাল চোখ এবং লোম রয়েছে। 

খরগোশের খাবার: কচি ঘাস, লতা-পাতা, গাজর, মূলা, শস্যদানা, শসা, মিষ্টি আলু, কলমি শাক, খড়কুটো, গম, ভুসি, কুড়া, খৈল, ছোলা, পাউরুটি, তরকারির ফেলনা অংশ নিত্যদিনের খাবার।

খরগোশ পালনের সুবিধা: 
  • অধিক উৎপাদন ও দ্রুত বর্ধনশীল প্রাণী। 
  • এরা প্রতিবার ২ থেকে ৮টি বাচ্চা দেয় এবং বছরে ৮ থেকে ১০ বার বাচ্চা দেয়।
  • এদের চামড়া দামি পোশাক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  • নিম্নমানের খাবারেই এদের চাহিদা পূরণ করা যায়।
  • এদের মাংসে চর্বি ও কোলেস্টরলের মাএা কম হওয়ায় চাহিদা বেশি।

খরগোশের প্রজনন: এরা সাধারণত ৫-৬ মাস বয়সে প্রথম প্রজনন-ক্ষম হয়। একবার বাচ্চা দেওয়ার পরও আবার বাচ্চা দিতে পারে। গর্ভবতী খরগোশ ২৮-৩৪ দিনের মধ্যে বাচ্চা দেয় এবং বাচ্চার ওজন খরগোশের শারীরিক ওজনের ওপর নির্ভরশীল সাধারণত দৈহিক ওজনের ২% হয়। খরগোশের দুধ দান কাল সময় ৬-৮ সপ্তাহ এবং এই সময় ওজন ৮০০-১২০০ গ্রাম। প্রজননের সময় পুরুষ খরগোশ এবং স্ত্রী খরগোশ একসাথে রাখা যায় তবে গর্ভবতী খরগোশকে আলাদা রাখাই শ্রেয়।

বাচ্চার যত্ন: প্রথম দশ দিন বাচ্চাগুলোকে অবশ্যই নরম কাপড় দিয়ে ধরতে হবে। যদি খরগোশ ৬-৮ টি বাচ্চা দেয় তবে প্রথম দশ দিন বিশেষ যত্ন নিতে হবে। যেমন: মা খরগোশ হতে দুধ খেতে সাহায্য করা অথবা ফিডারে দুধ খাওয়ানো অথবা ভাতের মাড় অথবা দুধে বিস্কুট ভিজিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।

গৃহপালিত খরগোশ সঠিকভাবে যত্ন নিলে ১০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।