বর্তমান সময়ে নারী-পুরুষ উভয়েরই চুল পড়ার সমস্যা দেখা যায়। এসবের জন্য কেবল দায়ী আধুনিকতা, প্রাকৃতিক পরির্বতন, আশে পাশের আবহাওয়া। প্রাকৃতিক কারন থাকলেও শারীরিক কিছু সমস্যার জন্য চুল পড়া শুরু হতে পারে। যেমন: হরমোনোর সমস্যা, পুষ্টির অভাব, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হলেও এসব সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত চুল পড়লে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।


চুল পড়ার কারন: 

সন্তান জন্ম দেওয়ার পর চুল পড়ার সমস্যা দেখা যায় কারন তখন হরমোন পরির্বতন হয়।

নির্দিষ্ট সময়ের পর চুল পড়া শুরু হলে তা বংশগত এবং এটি  একটি রোগ।

শারীরিক সমস্যা যেমন অপারেশনের পর চুল পড়ে যাওয়া তবে এক্ষেত্রে চুল পড়ার পর নতুন চুল গজায় না, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক আঘাত, ওজন বৃদ্ধির সমস্যা, বাত ব্যাথা ইত্যাদি।


চুল পড়া রোধ করার উপায়:

নিমপাতা: নিমপাতার ব্যবহার করে চুল পড়া কমানো সম্ভব এই পদ্ধতি প্রাচীন সময় থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যমান। নিমপাতায় প্রচুর পরিমানে ফ্যাটি এসিড থাকে তাই মাথার ত্বকের জন্য বেশ কার্যকর। নিমপাতা অনেক উপকারি পাতলা চুল বা টাক পড়া মাথার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।

ব্যবহার: তেলের সাথে চুলের গোড়ায় গোড়ায় ম্যাসাজ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় এতে রক্ত চলাচলও স্বাভাবিক হয়। ১৫-২০ টি নিমপাতার নির্যাস নিয়ে নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে লাগান তারপর ২৫-৩০ মিনিট রেখে দিন। তারপর আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেটা দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।


পেয়াজের রস: চুলের ঘনত্ব, চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য পেয়াজের বিকল্প নেই। পেয়াজে থাকা সালফার ভাঙ্গন রোধ করে। চুলকে মজবুত করে ও অকালপক্বতা দূর করে। নিয়মিত পেয়াজের রস ব্যবহার করলে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। খুশকি দূর করে এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

ব্যবহার: পরিমান মতো পেয়াজের রস ও মধু একত্রে নিয়ে ম্যাসাজ করুন মাথার ত্বক থেকে শুরু করে চুলের শেষ পর্যন্ত দিবেন। চুল আঠালো হয়ে আসলে আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেটা দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।


মেথি: নতুন চুল গজাতে ও চুল বৃদ্ধি করতে মেথি অন্যতম। মেথিতে যথেষ্ঠ প্রোটিন, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাশিয়াম রয়েছে। চুলকে মসৃণ, ঘন করে এবং চুলকে অকালপক্কতার থেকে বাচাঁয়।

ব্যবহার: ১/২ চামচ মেথি ও পাতি লেবুর রস একত্রে করে দিতে পারেন বা মেথি বেটে সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন। 


ডিম: ডিমের সাদা অংশ তৈলাক্ত চুলের জন্য কাজ করে এবং ডিমের কুসুম শুস্ক চুলের জন্য উপযোগি এতে বায়োটিন ভিটামিন ও ভিটামিন ডি রয়েছে। চুলের খাদ্য হিসাবে পরিচিত ডিম।

ব্যবহার: ১ টি ডিম ও ৪-৫ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বক থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মাসে ২ বার ব্যবহার করুন।


জবা ফুল: জবা ফুলে চুলের যত্নের জন্য সব ধরনের উপাদান রয়েছে। চুলকে শক্তিশালী করতে জবা ফুলের জুড়ি নেই। খুশকির সমস্যা রোধ করে। এর মধ্যে অ্যামিনো এসিড ও ভিটামিন সি রয়েছে।

ব্যবহার: ৫ টি জবা ফুল, ৫টি জবা ফুলের পাতা ও নারকেলের তেল একত্রে মিশিয়ে গরম করে ফুটিয়ে নিন। তারপর তেলটি ঠান্ডা করে পুরো চুলে লাগান। ২৫-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।