বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে রয়েছে এই সুন্দর ঐতিহাসিক স্থাপনা। জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্পেনের করডোভা নগরীর আদলে। পাকবাহিনি যুদ্ধের সময় হামলা করে এই বাড়িটিতে। জমিদারের বধূসহ ৫ জন গ্রামবাসীকে গুলি করে। তারপর তারা লৌহজং নদী পথে দেশত্যাগ করেন। ক্যাম্প গড়ে ওঠে এই মহেরা জমিদার বাড়িতে। বর্তমানে জমিদার বাড়িটি পুলিশ ট্রেনিং স্কুল হিসাবে উন্নত হয়। বাংলাদেশের ঢাকার টাঙ্গাইল সদর জেলার থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার এবং প্রায় ৮ একর জায়গা জুড়ে অবস্থান করছে এই বাড়িটি। 


এই জমিদার বাড়িটিতে রয়েছে বিশাখা সাগর নামে দিঘী, বাড়িতে যাওয়ার জন্য রয়েছে ২ টি সুরম্য দরজা, ভবনের শেষের দিকে রয়েছে পাসরা পুকুর ও রানী পুকুর, সুন্দর বাগান, নায়েব সাহেবের ঘর, কাছারি ঘর, দিঘীসহ ৩ টি লজ এবং গোমস্তাদের ঘর।


চৌধুরী বাড়ি: গোলাপি রঙের বাড়িটি চৌধুরী লজ হিসাবে পরিচিত। পিলারগুলো রোমান স্থাপত্য শৈলীতে বানানো হয়েছে। নকশা করা এই জমিদার বাড়িতে রয়েছে সুন্দর ছাদ। বড় বাগান ও সবুজ মাঠ।


আনন্দ বাড়ি: এই বাড়িটি সবচেয়ে সুন্দর নীল সাদা রঙে পরির্পূণ ৮ টি কলাম। ৩ তলা বিশিষ্ঠ বারান্দা বাড়িটির চমক আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বাড়িটির সামনে রয়েছে হরিণ, বাঘ ও পশু-পাখির ভাস্কার্য।


মহারাজ বাড়ি: বাড়িটির ৬ টি কলাম রয়েছে। বাকাঁনো সিড়ির রেলিংসহ ঝুলন্ত বারান্দা। ১২ টি কক্ষ রয়েছে যা শুটিং স্পটের জন্য ব্যবহার করা হয়।


কালীচরণ বাড়ি: এই বাড়িটি জমিদারদের বিলুপ্তের সময়কার এটি অন্যসব ভবনের থেকে আলাদা কারন এটিি ইংরেজি U অক্ষরের মতো করে নির্মাণ করা হয়েছে। বিকালে এই ভবনের বাহির থেকে সুন্দর আলোর রোশনাই দেখা যায়।