Jeff The Killer (জেফ দ্যা কিলার) নামটা অনেকের পরিচিত। কিন্তু তাকে দেখার ইচ্ছা কারোই নেই। কারণ সে এমন একজন মানসিক রোগী ছিলো যে তাকে মানুষ বলাই যায় না। সে এত মানুষ খুন করেছে যে বলা মুশকিল। সে প্রথম খুন করে তার মাকে। তাহলে ভাবুন সে কেমন প্রকৃতির মানুষ ছিলো।


আমারা যা জানবোঃ
  • জেফ দ্যা কিলার এর চেহারের বিবরণ;
  • কিভাবে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে;
  • সে কি এখনো বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে;

জেফ দ্যা কিলার এর চেহারের বিবরণ

Jeff The Killer
উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে জেফ দ্যা কিলার দেখতে অনেক ভয়ঙ্কর। তার মুখ ছুরি দিয়ে কাটা। তার চোখের কোনো পাতা নেই। সে এটাও ছুরি দিয়ে কেটে ফেলেছে। সে সবসময় একটা সাদা রক্তাক্ত হুডি পরে থাকত। সে সেই ছুরি দিয়েই মানুশ খুন করত।

তাহলে ভাবুন! সে কতটা ভয়ঙ্কর ছিলো। সে রাতের বেলা মানুষের বাসায় ঢুকে খুন করত। তাকে এখনো কেউ ধরতে পারে নি।

তার চেহারা এতই ভয়ঙ্কর ছিলো যে তাকে দেখলে মানুষ চিৎকার করত আর এই কারণে সে খুন করতে আরো বেশি আগ্রহ পায়। 

তার সাথে এমন কি হয় যার কারণে সে এমন হয়ে যায়। তা জানবো আমরা পরের প্রশ্নে।






জেফ দ্যা কিলার এর ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের এই সাইটকে ফলো করুন।
কিভাবে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে

জেফ একজন সাধারন মানুষ ছিলো। একদিন সে তার ভাইকে নিয়ে বাস স্ট্যান্ড এ দাঁড়িয়ে বাসের অপেক্ষা করে বাসায় যাওয়ার জন্য। হঠাৎ কিছু সিনিয়র ছেলেরা এসে তাদের জ্বালাতে শুরু করে। তারা তাদের জেফ ও তার ভাইকে খারাপ কথা বলা শুরু করে। জেফ এটা সহ্য না করতে পেরে তাদের সাথে মারামারি করে। জেফ তাদের খুব খারাপ ভাবে আহত করে। আর ওই বাস স্ট্যান্ড থেকে সরে পায়ে হেঁটে বাসার দিকে যায়। জেফ তাদের মারার পর তার মনে কেমন সস্তি দেখা যায়। সে মনে মনে খুশি হয়। হঠাৎ সে ছেলেগুলো আবার আসে এবং জেফকে পিছন থেকে আঘাত করে। তাদের ভিতর থেকে একজন তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে দেয় আর আরেকজন দেশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তার গায়ে। তার গায়ে আগুন ধরে যায়। জেফ এর চিৎকারে আশেপাশে থাকা মানুশজন বাইরে বেরিয়ে আগুন নেভায়। কিন্তু ততক্ষনে তার গা খুব ভয়ঙ্কর ভাবে পুরে যায়। 

তাকে হাস্পাতে ভর্তি করা হয়। জ্ঞান ফেরার পর সে নিজেকে চিনতে পারেনা। পুরো শরীর আগুনে পুরে যাওয়ায় তাকে চেনাই যাচ্ছিলো না। তারপর তার মাথায় মানসিক চাপ পরা শুরু হয়। শেষমেশ সে এটা সহ্য না করতে পেরে একটা ছুড়ি দিয়ে তার মুখে চিরে দেয়। সে চাইছিলো তাকে যেনো হাসি খুশি মনে হয়। তাই সে এটা করেছিলো। এমন সে তার চোখের পাতাও কেটে ফেলে। তারপর সে তার মায়ের কাছে যায়। তার মা তাকে ভয় পেয়ে চিৎকার করে উঠে আর সে তার মাকে মেরে ফেলে।

তার মায়ের চিৎকার শুনে জেফের ছোট ভাই জেগে যায়। জেফ তার ছোট ভাইয়ের কাছে যায়। আর বলে, "Go to Sleep".
এই কথা বলে তাকে মেরে ফেলে। তারপর থেকে সে মানুষ খুন করে। এটা ছিলো তার এরকম ভয়ঙ্কর হয়ে যাওয়ার কাহীনি। 

সে কি এখনো বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে?
অনেকের মতে সে আছে আবার অনেকের মতে নেই। বেশির ভাগ মানুষই বলেছে। জেফ দ্যা কিলার বলে কারো অস্তিত্ত নেই। তার ভিতরে একজন হচ্ছে Cliff G.  
সে বলেছে জেফ বলে কেউ নেই। এটা একটা কাল্পনিক চরিত্র। এটা একজন লেখকের তৈরি করা চরিত্র। এখানে ছবিতে Cliff G. এর বক্তব্য দেখানো হলোঃ





এখানে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে Cliff G. . কি বোঝাতে চাচ্ছে। তার মত অনেকেই তা প্রমান করেছে। তাই যে জন্ম নেই নি সে বেচে আছে কি না এটা বলা মুশকিল।

তো এখানে আমাদের জেফ দ্যা কিলার এর কাহিনী শেষ হলো। হতে পারে এই রহশ্য কোনো একদিন উন্মচোন হবে। 


নোটঃ এখানে যা বলা হয়েছে সব ইন্টারনেট থেকে নেওয়া হয়েছে। কোনো শক্ত প্রমাণ নেই এর পিছনে। আপনারা চাইলে তথ্যগুলো দেখতে পারেন। 
Witness: Cliff G.